জাকির সিকদার : বিএনপির ৬ষ্ঠ কাউন্সিল সফলের জন্য ৯৮ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আ স ম হান্নান শাহ। একই সঙ্গে মহানগর নাট্যমঞ্চে জায়গা পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিল
উপলক্ষে গঠিত শৃঙ্খলা ও সেবা উপ-কমিটির সভা শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন। হান্নান শাহ বলেন, ‘কাউন্সিল সফলে একশত ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি), ডজন তিনেক আর্চওয়ে বসানো হয়েছে। প্রায় এক হাজার শৃঙ্খলা-কর্মী সার্বক্ষণিকভাবে পুরো এলাকা মনিটর করবে। কাউন্সিলের এলাকাটি যেহেতু ছোট তাই বেশি সাবধান হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির কাউন্সিলর ২৬০০ জন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে আসন আছে ৮০০। তাই দ্বিতীয় অধিবেশেনের জন্য মহানগর নাট্যমঞ্চে জায়গা পাওয়ার চেষ্টা চলছে।’
অপরদিকে বিএনপির কাউন্সিলের সমালোচনা করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াবলেন
তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ দাগী খুনি আর ষড়যন্ত্রকারীদের আড্ডা হচ্ছে বিএনপি। এরা চায় কীভাবে হাসিনাকে হত্যা করতে হবে, মুক্তিযুদ্ধকে ধ্বংস করতে হবে। তাদের কাউন্সিলে নতুন কিছু আশা করা যায় না। খুনিদেরকেই তারা প্রাধান্য দিয়ে থাকে। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মুজিব সেনা পরিষদ’ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে মায়া বলেন, ইউপি নির্বাচনে বিএনপির নেত্রী হারিকেন নিয়ে নিজ দলের চেয়ারম্যান প্রার্থী খুজে পাচ্ছেন না। কারণ, খালেদার অপকর্মের কারণে বিএনপির সকল প্রার্থী পানিতে ডুবে গেছে। দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করার জন্য দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ষড়যন্ত্র করে যদি কেউ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিচূতি করতে চায় তাদেরকে ক্ষমা করা হবে না। ২০১৯ সালের আগে দেশে কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না বলে সাফ জানিয়ে তিনি আবারো বলেন, আপনি (খালেদা) বাস মিস করে ফেলেছেন দৌড়ায়ে ধরতে পারবেন না। জনগনের কাছে ক্ষমা চান তারপর ১৯ সালের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন বাদলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান প্রমুখ।